দিনাজপুরে বিজয়া দশমী: সিঁদুর খেলায় রঙিন বিদায়ের উৎসব

দিনাজপুরে বিজয়া দশমীর দিনে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন বিবাহিত নারীরা। দেবীর বিদায়ের প্রাক্কালে শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার চরণে সিঁদুর নিবেদন করে তাঁরা শুভকামনা বিনিময় করেন। এতে একদিকে বিষাদের সুর, অন্যদিকে আনন্দ-আবেগে ভরপুর হয়ে ওঠে পূজামণ্ডপগুলো।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৯ মিনিটে দেবী দুর্গাকে প্রতীকী রথে আরোহন করিয়ে কৈলাসে স্বামীর গৃহে প্রত্যাবর্তনের প্রথা সম্পন্ন হয়। সকাল ১১টার দিকে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে শুরু হয় বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা। দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশকে বিসর্জনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

সকালের পূজা-অর্চনার পর বিবাহিত নারীরা দেবীর চরণে সিঁদুর নিবেদন করে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। লাল সিঁদুরে রাঙিয়ে তাঁরা একে অপরের কপাল ও মুখে শুভেচ্ছার বার্তা ছড়িয়ে দেন। এতে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে মণ্ডপজুড়ে।

পূজামণ্ডপে আসা মাধবী চক্রবর্তী, মনীষা রায় বলেন, সিঁদুর খেলা শুধু উৎসবের আনন্দই নয়, এটি এক বিশেষ আশীর্বাদ। তাঁদের বিশ্বাস, এই সিঁদুর স্বামীর দীর্ঘায়ু, পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি ও আর্থিক উন্নতি বজায় রাখে। তাই পূজা শেষে তাঁরা একে অপরকে সিঁদুর মেখে শুভকামনা জানান।

পুরোহিত সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, বিবাহিত নারীদের জন্য সিঁদুর খেলা সম্মানজনক ও মঙ্গলদায়ক। দেবীর চরণের সিঁদুর তাঁরা কৌটায় ভরে সারা বছর ব্যবহার করেন। এতে স্বামীর মঙ্গল, সুস্থতা ও পরিবারের কল্যাণ কামনা করা হয়। আগামী বছর পর্যন্ত সুস্থ সুন্দর থাকার প্রার্থনাই এর মূল উদ্দেশ্য।

শেষ বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে সমাপ্তি ঘটে শারদীয় দুর্গোৎসবের।

Post Comment

You May Have Missed

error: অনুমতি ছাড়া লিখা ও ছবি নকল করা নিষেধ